ভারত ও পর্তুগালের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান, এমনই মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র অধিদপ্তর।
ভারত ও পর্তুগাল তথ্যপ্রযুক্তি, স্টার্টআপ ও উদ্ভাবন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ হাইড্রোজেন, যুবসমাজের অভিবাসন ও গতিশীলতা, দক্ষ কর্মী এবং পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে।

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এবং পর্তুগালের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঞ্জেলের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনের সফরে ভারতে রয়েছেন।

দুই মন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ পরিসর পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আলোচনায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক মঞ্চে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

 পর্তুগালের পক্ষ থেকে ভারতের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য অব্যাহত সমর্থন এবং ভারত-ইইউ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ধন্যবাদ জানান ড. জয়শঙ্কর।

আগামী বছর ভারত ও পর্তুগাল কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। এই উপলক্ষে, দুই মন্ত্রী যৌথভাবে এই মাইলফলক উদযাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঞ্জেল তাঁর সফরকালে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়াও তিনি গোয়া সফর করবেন, যেখানে তিনি রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে রিওতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রোর মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত-পর্তুগাল সম্পর্ক নতুন গতি ও উদ্দীপনা পেয়েছে।

পর্তুগালের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঞ্জেলের এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি ঐতিহাসিক সম্পর্ককে সমসাময়িক অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করতে ভূমিকা রাখবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।