বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক হামলার খবরের মধ্যেই এ সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
ফরেন অফিস কনসাল্টেশন বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তার মূল বৈঠকটি হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। পাশাপাশি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মিশ্রির।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে শামিল হচ্ছে দুই দেশ। যদিও ড. ইউনূস সরকারের গত চার মাসে দু-দেশের তিনটি টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক করেছে
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। এখন নতুন করে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারতের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে এ ছাড়া গত সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এ ঘটনায় শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায়নি। ঘটনার একদিন পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে ক্ষোভ জানায় ঢাকা
এর আগে সবশেষ পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শের বৈঠক ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের এ বৈঠকে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় শুরু করাভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণসরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ এই সফরকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। কারণ একে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানো এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।