ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির প্রতি ভারতের অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত।
লাওসের ভিয়েনতিয়ানে তিন দিনের সফরের শেষ দিনে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জাপান এবং ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই বৈঠকগুলি শুক্রবার (২২ নভেম্বর, ২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকগুলো ১১তম আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টার্স’ মিটিং-প্লাস এর ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিরক্ষা কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
জাপানের সঙ্গে সংযোগ
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেন নাকাতানির সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের আলোচনায় প্রতিরক্ষা শিল্প ও প্রযুক্তি সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার অভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়। উভয় দেশ সম্প্রতি স্বাক্ষরিত “ইউনিকর্ন মাস্ট” সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের গুরুত্ব স্বীকার করে, যা প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উৎপাদন ও উন্নয়নের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
দুই মন্ত্রী তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার জন্য “রেসিপ্রোকাল প্রভিশন অফ সাপ্লাই অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট” ব্যবহার করার বিষয়ে সম্মত হন। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। বিমান খাতে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার বিষয়টিও আলোচনার শীর্ষে ছিল।
এই অংশীদারিত্ব নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “জাপানের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে আমাদের প্রচেষ্টা ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ফিলিপাইনের সঙ্গে সহযোগিতা
ফিলিপাইনের জাতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্টো তেওদোরোর সঙ্গে বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাজনাথ সিং আসিয়ান এবং এডিএমএম-প্লাস -এ আসন্ন চক্রের জন্য ফিলিপাইনের ভারত-কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ সন্ত্রাস দমন, মহাকাশ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। সামুদ্রিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকারটি ভারতের নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং অঞ্চলজুড়ে আন্তঃসীমান্ত সামুদ্রিক হুমকি মোকাবিলার প্রতি মনোযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, “ইন্দো-প্যাসিফিকে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার আমাদের প্রচেষ্টায় ফিলিপাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতি শ্রদ্ধা
সফরের শেষ দিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভিয়েনতিয়ানের বিখ্যাত বৌদ্ধ স্থাপনা ওয়াট সিসাকেট মন্দির পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু মহাভেথ চিত্তকারোর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। এই সফর ভারতের লাওস ও বৃহত্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি সম্মানের প্রতীক।
আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ভূমিকায় ভারতের প্রতিশ্রুতি
ভিয়েনতিয়ানে অবস্থানকালে রাজনাথ সিং এডিএমএম-প্লাস ফোরামে অংশ নেন এবং মালয়েশিয়া, লাওস, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই আলোচনাগুলি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল। রাজনাথ সিংয়ের এই সফর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করার ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সফর একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, অর্থবহ অংশীদারিত্ব এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলায় ভারতের ভূমিকা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
জাপানের সঙ্গে সংযোগ
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেন নাকাতানির সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের আলোচনায় প্রতিরক্ষা শিল্প ও প্রযুক্তি সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার অভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়। উভয় দেশ সম্প্রতি স্বাক্ষরিত “ইউনিকর্ন মাস্ট” সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের গুরুত্ব স্বীকার করে, যা প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উৎপাদন ও উন্নয়নের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
দুই মন্ত্রী তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার জন্য “রেসিপ্রোকাল প্রভিশন অফ সাপ্লাই অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট” ব্যবহার করার বিষয়ে সম্মত হন। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। বিমান খাতে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার বিষয়টিও আলোচনার শীর্ষে ছিল।
এই অংশীদারিত্ব নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “জাপানের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে আমাদের প্রচেষ্টা ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ফিলিপাইনের সঙ্গে সহযোগিতা
ফিলিপাইনের জাতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্টো তেওদোরোর সঙ্গে বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাজনাথ সিং আসিয়ান এবং এডিএমএম-প্লাস -এ আসন্ন চক্রের জন্য ফিলিপাইনের ভারত-কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ সন্ত্রাস দমন, মহাকাশ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। সামুদ্রিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকারটি ভারতের নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং অঞ্চলজুড়ে আন্তঃসীমান্ত সামুদ্রিক হুমকি মোকাবিলার প্রতি মনোযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, “ইন্দো-প্যাসিফিকে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার আমাদের প্রচেষ্টায় ফিলিপাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতি শ্রদ্ধা
সফরের শেষ দিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভিয়েনতিয়ানের বিখ্যাত বৌদ্ধ স্থাপনা ওয়াট সিসাকেট মন্দির পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু মহাভেথ চিত্তকারোর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। এই সফর ভারতের লাওস ও বৃহত্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি সম্মানের প্রতীক।
আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ভূমিকায় ভারতের প্রতিশ্রুতি
ভিয়েনতিয়ানে অবস্থানকালে রাজনাথ সিং এডিএমএম-প্লাস ফোরামে অংশ নেন এবং মালয়েশিয়া, লাওস, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই আলোচনাগুলি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল। রাজনাথ সিংয়ের এই সফর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করার ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সফর একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, অর্থবহ অংশীদারিত্ব এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলায় ভারতের ভূমিকা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক