আফগান জনগণের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কই আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করবে, বলছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আফগানিস্তানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির অংশ হিসেবে এই সপ্তাহে ভারতীয় একটি সরকারি প্রতিনিধি দল কাবুল সফর করেছে। তারা আফগান শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এদের মধ্যে ছিলেন তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মুহাম্মদ ওমরের পুত্র ও আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান বিভাগের যুগ্মসচিব জে পি সিং-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ৪ ও ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে কাবুল সফর করে।
সফরের সময় জে পি সিং আফগান সরকারের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং সেখানে অবস্থানরত জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর প্রধানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ২০২৪) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
তিনি বলেন, “মানবিক সহায়তা প্রদান এবং আফগানিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের রপ্তানি ও আমদানির জন্য অথবা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের সুবিধা নিয়েও কথা হয়েছে।”
জয়সওয়াল আরও ব্যাখ্যা করেন যে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদান ভারতের সহযোগিতা কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বেশ কয়েকটি মানবিক সহায়তার চালান পাঠিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম, ৪০,০০০ লিটার মালাথিয়ন কীটনাশক, ৩০ টন ওষুধ এবং ২৮ টন ভূমিকম্প ত্রাণ সামগ্রী।
তিনি বলেন, “আমাদের আফগান জনগণের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্কই আমাদের দেশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে সহায়ক হবে।”
যদিও ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবান সরকারকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও কাবুলে ভারতের দূতাবাস কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে সেখানে একটি প্রযুক্তিগত দল মোতায়েন রয়েছে, যারা মূলত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সহায়তা করছে।
২০২২ সালের ২৩ জুন কাবুলে পৌঁছানোর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, “মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং আফগান জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অংশীদারের প্রচেষ্টা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য একটি ভারতীয় প্রযুক্তিগত দল কাবুলে পৌঁছেছে এবং আমাদের দূতাবাসে মোতায়েন হয়েছে।” সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান বিভাগের যুগ্মসচিব জে পি সিং-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ৪ ও ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে কাবুল সফর করে।
সফরের সময় জে পি সিং আফগান সরকারের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং সেখানে অবস্থানরত জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর প্রধানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ২০২৪) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
তিনি বলেন, “মানবিক সহায়তা প্রদান এবং আফগানিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের রপ্তানি ও আমদানির জন্য অথবা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের সুবিধা নিয়েও কথা হয়েছে।”
জয়সওয়াল আরও ব্যাখ্যা করেন যে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদান ভারতের সহযোগিতা কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বেশ কয়েকটি মানবিক সহায়তার চালান পাঠিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম, ৪০,০০০ লিটার মালাথিয়ন কীটনাশক, ৩০ টন ওষুধ এবং ২৮ টন ভূমিকম্প ত্রাণ সামগ্রী।
তিনি বলেন, “আমাদের আফগান জনগণের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্কই আমাদের দেশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে সহায়ক হবে।”
যদিও ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবান সরকারকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও কাবুলে ভারতের দূতাবাস কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে সেখানে একটি প্রযুক্তিগত দল মোতায়েন রয়েছে, যারা মূলত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সহায়তা করছে।
২০২২ সালের ২৩ জুন কাবুলে পৌঁছানোর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, “মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং আফগান জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অংশীদারের প্রচেষ্টা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য একটি ভারতীয় প্রযুক্তিগত দল কাবুলে পৌঁছেছে এবং আমাদের দূতাবাসে মোতায়েন হয়েছে।” সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক