বিশ্বের শীর্ষ ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থান পাওয়া সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে চলেছে।
ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথে, ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে তাদের প্রথম ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থান পাওয়া সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভারতের মাটিতে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে চলেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী ১০ বছরে বিভিন্ন কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট, ২০২৪) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা করা হয়, যা ভারতের শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই পদক্ষেপটি ভারতের শিক্ষার মানকে বৈশ্বিক স্তরে উন্নীত করতে সহায়ক হবে এবং ভারতকে একটি বৈশ্বিক শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এই অনুষ্ঠানটিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা লাভের একটি অনন্য সুযোগ এনে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, কম্পিউটিং, আইন, প্রকৌশল, শিল্প ও নকশা, জীববিজ্ঞান এবং জীবনবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। প্রথম বছরে কম্পিউটার সায়েন্স, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং এবং ফাইন্যান্স, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা কোর্স চালু হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই উদ্যোগটি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০-এর অধীনে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈশ্বিক মানের দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভারত-যুক্তরাজ্য সহযোগিতার শিক্ষাক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আন্তর্জাতিকীকরণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভারতে এবং ভারতীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে স্থাপন করার মাধ্যমে একটি জীবন্ত গবেষণা ও জ্ঞান বিনিময়ের পরিবেশ তৈরি হবে, যা বৈশ্বিক নাগরিক তৈরি করবে।
ভারতে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর উপস্থিতি ভারতের শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান বৃদ্ধি করবে এবং দেশটিকে বৈশ্বিক শিক্ষার মানচিত্রে একটি শক্তিশালী অবস্থানে স্থাপন করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক