তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। আজ, মঙ্গলবার তিনি পৌঁছন রাষ্ট্রপতি ভবনে।
তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। আজমঙ্গলবার তিনি পৌঁছন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইব্রাহিমকে দেখেই আলিঙ্গন করেন নমো। সৌজন্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। দুদেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহু পুরনো। নিজেদের বায়ুসেনার শক্তি আরও বাড়াতে ভারতের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান কিনতেও আগ্রহী মালয়েশিয়া। এছাড়া নয়াদিল্লির 'অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি'র গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী মালয়। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে একজোট দুদেশই। চৈনিক চাল ভেস্তে দিতে এবার ভারতের 'হাতিয়ারমালয়েশিয়া।  
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই সোমবার রাতে দিল্লিতে পা রাখেন আনোয়ার ইব্রাহিম। বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে প্রথাগত ভাবে স্বাগত হয়। ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন মোদি। এদিন রাজঘাটে গিয়েও মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর। এর পর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ইব্রাহিম বৈঠক করেন মোদির সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যবিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। কথা হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরের সুরক্ষা নিয়েও।
মোদি-ইব্রাহিম সাক্ষাতের কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি লেখেন, 'মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের এই সফর আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ও সহযোগী মালয়েশিয়া।ভারতে এসে উচ্ছ্বসিত আনোয়ার ইব্রাহিমও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন,"আগামিদিনে ভারত-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করতে আমাদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে।"
উল্লেখ্যগোটা দক্ষিণ চিন সাগর নিজের বলে দাবি করে চিন। এনিয়ে আমেরিকাভারত ছাড়াও চিনের লড়াই সিঙ্গাপুরমালয়েশিয়াফিলিপিন্সজাপানভিয়েতনাম এবং সুদূর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। তাদের ভূখণ্ড থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপেও মাছ ধরার অধিকার চাইছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিক দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। পালটা বেজিংকে শায়েস্তা করতে সেখানে নিয়মিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ‘ড্রাগন’কে রুখতে দক্ষিণ চিন সাগরের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক