মার্চ মাসে ভারত ও বাংলাদেশ তাদের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করবে।

বৃহস্পতিবার ভারত ও বাংলাদেশ অধিনায়কীয় সংলাপ করেছে এবং উভয় পক্ষই রাষ্ট্র-প্রতিনিধি সংক্রান্ত ইস্যুতে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছে, যার মধ্যে বানিজ্য সংক্রান্ত প্রবেশ, জাতীয়তার সত্যতা যাচাই এবং বন্দীদের মুক্তি, বিশেশভাবে আটক জেলেদের তাড়াতাড়ি মুক্তির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি চূড়ান্তকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


কনস্যুলার সংলাপে, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সচিব (পূর্ব) এমওএফএ মাশফি বিনতে শামস।


সংশোধিত ভ্রমণ ব্যবস্থা (২০১৮) এর অধীনে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা সংক্রান্ত বিধান বাস্তবায়নের বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে এবং ভিসার আনুষ্ঠানিকতা আরও উদারীকরণ সংক্রান্ত নিয়ম এবং প্রবেশ ও বহির্গমনে যাতায়াত আরও সহজ করে তুলবে।


উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় এবং আইনী সহায়তা নিয়ে এজেন্সি গুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার।


তারা নাগরিক কেন্দ্রিক কনস্যুলার প্রক্রিয়ার দিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ বন্ধন এবং তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কে আরও জোরদার করতে এবং জনগণের থেকে জনগণের বিনিময়কে আরও উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে।


বানিজ্য সংক্রান্ত, ভিসা এবং পারস্পরিক আইনী সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে অধিনায়কীয় সংলাপ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে।